গত ১৩ জুলাই থেকে ২৮ দিন ধরে মিন্টু চন্দ্র বর্মণের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না
ঢাকার সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) লাশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় উদ্ধারে অভিযান শুরু করে র্যাব।
হত্যার পর ওই শিক্ষকের লাশ টুকরো করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয় বলে বাহিনীটির কাছে তথ্য রয়েছে। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
র্যাবের ভাষ্যমতে, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিন্টু চন্দ্রকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার এক সহকর্মীসহ তিনজন আটক করেছে র্যাব। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই অভিযান চালানো হয়।
র্যাব জানায়, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে রাজধানীর উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আঁশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ৭ বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় “সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ” নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। গত ১৩ জুলাই থেকে মিন্টু চন্দ্র বর্মণের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
মতামত দিন