মো. গোলাম সাকলায়েন এবং নায়িকা পরীমণির সম্পর্ক তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন এবং নায়িকা পরীমণির ‘‘সম্পর্ক’’ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।ৱ
কমিটির নেতৃত্বে আছেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। তবে কমিটির অন্য সদস্য কারা তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, “কমিটি গঠনের চিঠি এখনও পাইনি। চিঠি পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।”
চ্যানেল ৭১ ও বাংলা ট্রিবিউনের দুটি ভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন পরীমণির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে। আর এই মামলার জিজ্ঞাসাবাদের কারণে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যাতায়াত হয় পরীমণির। সেখান থেকেই গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। পরিচয় থেকে শুরু হয় যোগাযোগ।
বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীমণির বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল শিথিলের। গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতেও বের হতেন তারা।
আরও পড়ুন- তদন্ত করতে গিয়ে পরীমণির ‘প্রেমে পড়েন’ ডিবি কর্মকর্তা
গ্রেপ্তারের পর ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণি জানান, গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। পরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের। শিথিল নিজেকে “অবিবাহিত” হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন তার কাছে। যদিও শিথিল বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত।
পরীমণি জানান, সর্বশেষ গত ১ আগস্ট শিথিলের সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতি’র ফ্ল্যাটে যান তিনি।
অন্যদিকে পরীমণির সহযোগী দীপু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গত কোরবানির ঈদের পর পরীমণির বাসায় গেলে জানতে পারেন গোলাম সাকলায়েন তিন দিন পরীমণির বাসায় ছিলেন।
এদিকে গোলাম সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে পরীমণির তার মধুমতির ফ্লাটে যান। এ সময় ১০ তলা থেকে নেমে এসে পরীমণিকে বাসায় নিয়ে যান সাকলায়েন নিজেই।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে তার প্রেমের বিষয়টি উঠে আসলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিথিলের বাসভবনের কেয়ারটেকার শামীমকে সিসিটিভি ফুটেজসহ পুলিশ সদর দপ্তরে ডেকে পাঠান।
পরীমণির গাড়িচালক নাজির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমণি দু’বার রাতে হাতিরঝিলে ঘুরতে গেছেন এবং গাড়িতে বসেই দু’জন মদ খেয়েছেন।”
গোলাম সাকলায়েন শিথিল বাংলা ট্রিবিউনকে পরীমণির সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয় স্বীকার করে জানান, তাদের সম্পর্ক রয়েছে। তবে তা প্রেমের সম্পর্ক নয় এবং তারা বিয়েও করেননি।
মতামত দিন