রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং এলাকার এক চায়ের দোকানের সামনে সালাম দেওয়া নিয়ে জসীম এবং এরশাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর এরশাদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী জসীম (৩৬) এবং তার সহযোগী কবিরকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম আসামীদের বাড্ডার সাঁতারকুল পুকুরপাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৮ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং এলাকায় কাইয়ুমের চায়ের দোকানের সামনে সালাম দেওয়া নিয়ে জসীম এবং এরশাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কাইয়ুম মীমাংসা করে দেন। কিন্তু জসীম ক্ষোভ পুষে রেখে ওইদিন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এরশাদ এবং তার বন্ধু রুবেল ঢাকা উদ্যানের বেড়িবাঁধের পাশে বুড়িগঙ্গা পেট্রোল পাম্পের সামনে পাকা রাস্তায় পরিকল্পিতভাবে এরশাদসহ আরও ৮ জনকে পেছন থেকে অতর্কিত আক্রমণ করে। জসীম তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এরশাদের বাম কাঁধের পেছন থেকে এবং আরিফ এরশাদের কোমরের উপরে পিঠের বামপাশে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে এরশাদ অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিহতের মা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মামলাটির অধিকতর তদন্তভার পায় পিবিআই।
আসামী জসীম উদ্দিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়াও আরেক আসামী কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মতামত দিন