সম্প্রতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কারা অধিদপ্তর দেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা জমা দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। কারাগারের ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে বন্দিসহ সংশ্লিষ্টরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও টিকা কার্যক্রম পরিচালনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই নেয়নি।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মমিনুর রহমান মামুন বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন। যতদূর জানি, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার বলেন, “দেশের সকল নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। তবে এখনও কারাবন্দিদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৪০ বছরের বেশি বয়সী এবং অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে এমন বন্দিদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। এরপর টিকা পাবেন বিচারাধীন বন্দিরা।
কারাগার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের ৬৮টি কারাগারে ৭৮ হাজার ৪৯৬ জন বন্দি আছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০% দণ্ডিত।
আরও পড়ুন- ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কোভিড আক্রান্ত
সম্প্রতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরেই কারাগারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগারে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ১০০ জনের কম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জেল শাখা) সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, “কারাগারে টিকা দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে আমরা কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”
মতামত দিন