৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দর পৌঁছানোর পরও কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে তাকে রেখেই প্লেন ছেড়ে চলে যায়
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে ফ্লাইট মিস করা প্রবাসী নারী জামিলা চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, ‘মা-বাবা চলে গেলে এই বাংলার মাটিতে আমি আর আসবো না। আমি এতো লাঞ্ছিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যে সন্তানদের রেখে আমার অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসি।”
গত বুধবার বাংলাদেশ বিমানের (বিজি-২০১) সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা ছিল জামিলা চৌধুরীর। ফ্লাইট ধরতে তিনি ওইদিন দুপুর সোয়া ১টায় বিমানবন্দরে হাজির হন। চেক ইনের সময় তিনটি লাগেজে তার মালামাল ৮৪ কেজি ওজন হয়। নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি বাড়তি হওয়ায় অতিরিক্ত ফি আসে। এ নিয়ে বিমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় জামিলার এবং তাকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অতিরিক্ত লাগেজটি রেখে শুধু একটি লাগেজ নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তার কথা আমলে নেননি বলে অভিযোগ করেন জামিলা চৌধুরী।
নিজের ফেসবুক লাইভে এসে জামিলা চৌধুরী জানান, ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দর পৌঁছানোর পরও কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে তাকে রেখেই প্লেন ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টারে পৌঁছালেও দায়িত্বরত কর্মকর্তা জামিলা চৌধুরীর কাছে ‘লোকেটর ফরম’ চান। তখন নিজ মোবাইলে ‘লোকেটর’ ফরমটি দেখালে প্রিন্ট কপি চান এক কর্মকর্তা। বারকোডযুক্ত লোকেটর ফরমে প্রিন্ট কপি বাধ্যতামূলক হতে পারে না- এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় দুইপক্ষের।
জামিলা জানান, এখন সবকিছুই ডিজিটালি চলছে। কিন্তু বিমানের ওই কর্মকর্তা তা মানেননি। বাকবিতণ্ডার পর লোকেটর ফরম প্রিন্ট করার জন্য যান জামিলা। কিন্তু সেখানে দীর্ঘ লাইন থাকায় তা প্রিন্ট করাতে পারেননি তিনি।
এরপর তার লাগেজে অতিরিক্ত মালামালের জন্য কর্মকর্তা অনৈতিক ভাবে টাকা দাবি করেন।
ঐ নারীকে হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। একজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও আরেকজনকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
মতামত দিন