মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে গেছে ওই শিক্ষার্থী
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় রংপুরের বদরগঞ্জে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১ আগস্ট) তার মৃত্যু হয়।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ি উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানো গ্রাম এলাকায়। বাবার নাম তোয়াব আলী। সে স্থানীয় লোহানীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ।
পুলিশ আরও জানায়, ওই ছাত্রীর বড় বোনের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার পশ্চিম বড়বালা এলাকায়। বড় বোনের আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন নামে এক যুবক তাকে কয়েকদফা প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে বিয়ে করার জন্য তার বাবা-মায়ের কাছে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এলাকায় বখাটে হিসেবে শাখাওয়াতের পরিচিতি থাকায় মেয়েটির পরিবার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এবং মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে শাখাওয়াত ক্ষিপ্ত হয়।
ঘটনার দিন (বুধবার) ওই ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে শাখাওয়াত তাদের বাড়ির কাছে যায়। এরপর তাকে ফোন করে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা তোয়াব আলী বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এদিকে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর জবানবন্দি নেয়। সেখানে ওই শিক্ষার্থী তাকে কুপিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাতকারী হিসেবে শাখাওয়াতের নাম উল্লেখ করে এবং তার কঠোর শাস্তি দাবি করে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হামিদুল ইসলাম।
ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার সন্ধ্যায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামি শাখাওয়াতকে গ্রেফতারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মতামত দিন