হামলার ঘটনায় রবিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় সংখ্যালঘু একটি হিন্দু পরিবারের উপর দুই দফায় হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণের ভয়ে ভুক্তভোগীরা বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এ ঘটনায় রবিবার (১ আগস্ট) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়া থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন এ কথা নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রঞ্জিত চন্দ্র জানান, ব্যাপারী পাড়ার দুলাল ব্যাপারী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মৃত নিমাই চন্দ্র বাড়ৈর বেশ কিছু জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে দুলাল বেপারীর ছেলে ও নাতিরা নিমাই চন্দ্রের নাতিকে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করলে দুলাল বেপারীর ৬ ছেলে ও নাতিরা লাঠিসোটা নিয়ে রঞ্জিতদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের মারধর, বাড়ি ভাংচুর করে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন লুটপাট করে তারা। পরদিন রবিবার সকালেও রঞ্জিতের পরিবারের সদস্যদের উপর আবারও হামলা চালানো হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
রঞ্জিতের ছোট ভাই ছিদাম কুমার বলেন, "তারা খুবই অসহায় সংখ্যালঘু একটি পরিবার। জমি দখল নিয়ে বহু বিচার শালিশ হয়েছে। কিন্তু হেলাল শেখরা কিছুই মানে না। জমি-জমার এ দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা আমার ভাইপোকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দেয়। প্রতিবাদ করায় বাড়িতে এসে দুই দফায় আমাদের মারধর, ভাংচুর ও লুটপাট করে। প্রাণ ভয়ে আমরা বাড়িতে যেতে সাহস পাচ্ছি না।"
তিনি আরও জানান, বাড়িতে লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় তিনি থানায় দুলাল ব্যাপারী পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ এনে দুলাল ব্যাপারি বলেন, "রঞ্জিতের ছেলে নিমাই আমার ছেলে তালেবের ঘরে ঢুকে ওর বৌয়ের হাত-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর সে ঘরে রাখা কিছু নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আমরা টের পেয়ে তাকে ধরে ফেলি। এ কথা বলতে গিয়ে তারাই বরং আমাদের উপর চড়াও হয়।আমরাও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন জানান, ছিদাম কুমার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন।অভিযুক্তদের পক্ষ থেকেও একটা অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মতামত দিন