২৪ ঘন্টায় বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন
রংপুর বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে সংক্রমণের হারও।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৮ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জন মারা গেছে। ফলে গত ৩২ দিনে রংপুর বিভাগে ৩৪ নারীসহ মোট ৪৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সময়ে ১ হাজার ৮শ ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে রংপুরে ১৫৬ জন। এছাড়া পঞ্চগড়ে ৬৩ জন, নীলফামারীতে ৮০ জন, লালমনিরহাটে ৩৮ জন, কুড়িগ্রামে ৯০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০৭ জন, দিনাজপুরে ৯৪ জন এবং গাইবান্ধায় ৫১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রংপুরে ছয়জন, পঞ্চগড়ে একজন, নীলফামারীতে একজন, কুড়িগ্রামে একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়জন, দিনাজপুরে দুইজন এবং গাইবান্ধায় একজন মারা গেছে।
এদিকে রংপুর কোভিড হাসপাতালের ৮টি আইসিইউ বেড এবং দিনাজপুর কোভিড হাসপাতালের ১৬ টি বেডের একটিও খালি নেই।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বিভাগের আক্রান্তের হার ৩০.৩১ শতাংশ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৯৪১জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে কোভিড রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার ৮১১ জনের। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮৫২ জন। এবং করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৫১৯ জন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম জানান, সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট এবং বিভাগীয় শহর রংপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশাঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৭১৩ জন, রংপুরে নয় হাজার ৯৬১ জন, পঞ্চগড়ে দুই হাজার ৭৫৬ জন, নীলফামারীতে তিন হাজার ৬১৭ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ২৫৩ জন, কুড়িগ্রামে তিন হাজার ৫৬২ জন, ঠাকুরগায়ে ছয় হাজার ১৩৯জন এবং গাইবান্ধায় তিন হাজার ৮৫১ জন।
“স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং মাস্ক পরিধান না করায় সংক্রমণের হার বাড়ছে” বলে জানান ডা. মোতাহারুল ইসলাম।
মতামত দিন