ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও আছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে টেকনাফে ৩২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া, ঢাকায় ২২ মিলিমিটার ও চট্টগ্রামে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। এসময়ে সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একই সময়ে সর্বনিম্ন ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায়।
সারা দেশে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও ৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টির ফলে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মতামত দিন