হিরো আলমকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। শাকিব খান ও ডিপজল কে বিক্রি করতে পারেনি খামারিরা
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বহুল আলোচিত ৩১ মণ ওজনের ষাঁড় গরু ‘হিরো আলম’কে লোকসানে বিক্রি করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন গাবতলী হাটে ষাঁড়টিকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। যদিও দাম হাঁকানো হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। এদিকে টাঙ্গাইলের আলোচিত ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’কে বিক্রি করতে পারেনি খামারিরা।
উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগমের খামারের লালন পালন করা ‘হিরো আলমের’ বয়স প্রায় চার বছর। লম্বায় সাড়ে ৮ ফিট ও উচ্চতা ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি।
জয়নব বেগম বলেন, “হিরো আলমকে গাবতলীর হাটে উঠানো হয়েছিল। হাটে ছয়দিন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেউ প্রত্যাশিত দাম বলছিল না। ঈদের আগের দিন ষাঁড়টিকে মাত্র ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। পুরান ঢাকার একটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ষাঁড়টিকে ক্রয় করেন। আমার প্রায় এক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তিনটি ষাঁড় গাবতলীর হাটে নিয়েছিলাম। হাটে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে জায়গা ভাড়া করা হয়। তবে দুইটি ছোট গরুর প্রত্যাশিত দাম পেয়েছি। জায়গা ভাড়াসহ হাটে আমার মোট ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।”
জয়নব বেগম প্রতি বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য কয়েকটি করে ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেন। গত বছরও ৩৫ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছিলেন।
এদিকে, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজলের’ নামের দুটি ষাঁড় অনলাইন হাটে উপস্থান করা হয়েছিল। ৩১ মন ওজনের শাকিব খানের দাম ধরেছিলেন ১৩ লাখ টাকা। ৩০ মণ ওজনের ডিপজলের দাম ধরা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। অনলাইন পশুর হাটে এদের ছবি দেয়া হয়। শাকিব খানের দাম উঠে আট লাখ টাকা আর ডিপজলের দাম উঠে সাত লাখ টাকা। যদিও খামারিরা শাকিব খানকে ১১ লাখে এবং ডিপজলকে ১০ লাখে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আর বিক্রি করেনি।
জোবায়ের ইসলাম বলেন, “দাম না ওঠায় এ বছর শাকিব খান ও ডিপজলকে বিক্রি করিনি। আরও এক বছর পালন করে সামনের বছর কোরবানির ঈদের সময় বিক্রির উদ্যোগ নিবো।”
মতামত দিন