‘অলিম্পিক লরেল’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে টোকিও অলিম্পিক। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে অলিম্পিকের এবারের আসর। আর এ আসরেই ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার অলিম্পিক লরেল পেলেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবীদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস।

“টোকিও অলিম্পিক-২০২০” আসরের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তার হাতে সম্মাননা তুলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। জাপানে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের প্যারেড শুরুর আগেই ড. ইউনূসকে সম্মাননা দেয় আইওসি। তবে অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূস।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউনূস সেন্টারের দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। সেখানে অলিম্পিক লরেলকে ক্রীড়া জগতের “সর্বোচ্চ পুরস্কার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

সম্মাননা পেয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অলিম্পিক লরেল পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। তবে সেখানে (অনুষ্ঠানস্থলে) উপস্থিত থাকতে না পেরে খারাপ লাগছে।”

ড. ইউনূস তার বার্তায় খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সফলতা কামনা করেন। সবশেষ এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা এবং অলিম্পিক লরেল সম্মাননা দেয়ায় সবাইকে ফের ধন্যবাদ জানান এ অর্থনীতিবিদ।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ক্রীড়ার সামাজিক প্রভাবকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে উল্লেখ করে ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারাই বিশ্ব পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারেন। এবং সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি শূন্যের; এগুলো হচ্ছে- শূন্য কার্বন নির্গমন, সম্পদের শূন্য পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব।”

গত ১৫ জুলাই এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানায়, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের অগ্রণী ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য প্রশংসিত হয়েছে। উন্নয়নের জন্য খেলাধুলায় ব্যাপক কাজের জন্য তাকে সম্মানিত করা হবে।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো দেয়া হলো এই পুরস্কার। অলিম্পিক কমিটি বলেছে, সারা বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এক ছাতার তলে আনা বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটিও ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, তাদের আগেই টোকিও এই সম্মান জানিয়ে ফেলায় তারা মর্মাহত।