গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা অপ্রতুল
কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য কয়েকটি সংস্থা থেকে পাওয়া দুই হাজার গরু ও ৫শ’ ছাগল বিরতণ করা হয়েছে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) টেকনাফ ও উখিয়ার বাজার থেকে পশুগুলো কিনে ক্যাম্পে হস্তান্তর করছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা অপ্রতুল।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা।
তিনি বলেন, “অন্য বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর সংগ্রহ কম। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া এসব কোরবানির পশু শরণার্থী শিবিরে দেওয়া হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে, প্রতিটি শিবিরের ব্লক মাঝিদের মাধ্যমে জবাই করে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে মাংস পৌঁছে দেওয়া।"
তিনি আরও বলেন, "এর আগে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের জন্য দুই শতাধিক গরু পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু কোরবানি পশু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেগুলো পেলে বাকি ক্যাম্পগুলোতে বিতরণ করা হবে।”
যদিও আড়াই হাজার গরু ও ছাগল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের নেতারা। তারা বলছেন, গত বছর ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আট হাজারের মতো গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। এবার তাদের জন্য মাত্র আড়াই হাজার গরু।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল বুধবার ঈদ-উল-আজহা পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে, রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই মুসলিম হওয়ায় তারা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার কিছু শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা নিজেদের টাকায় ভাগাভাগি করে গরু কিনেছেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
টেকনাফের নয়াপাড়া ও শালবন রোহিঙ্গা (২৬-২৭) ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. খালেদ হোসেন জানান, তার দুটি শিবিরের মধ্যে শালবন ক্যাম্পে ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার রোহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে। শালবন ক্যাম্পের জন্য এনজিও সংস্থা বাসমাহ ফাউন্ডেশনের কাছ ৭৩টি কোরবানির গরু পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ চলছে।
মতামত দিন