অন্য একটি মামলার তদন্তে নেমে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে মন্ত্রীর খোয়া যাওয়া আইফোনের সন্ধান পায় পুলিশ
দেড় মাসেরও বেশি সময় পর রাজধানীর বিজয় সরণী মোড় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করেছে রমনা বিভাগ পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চক্রের ৫ সদস্যকে।
আজ সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।
ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন সেটটি উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
অন্য একটি মামলার তদন্তে নেমে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে মন্ত্রীর খোয়া যাওয়া আইফোনের সন্ধান পায় পুলিশ।
মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, গত ১২ জুলাই বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা দুজন লোক এক মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। সেদিনই ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সগির ও সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে সগির ও সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে এবং জাকিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় আরিফ নামের একজনকে। ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন, তার মোবাইলটি উদ্ধার করা হয় এই আরিফের কাছে থেকেই।
সাজ্জাদুর রহমান জানান, আরিফের কাছে থাকা ল্যাপটপেই পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া আইফোনের ছবি পায় পুলিশ। এরপর আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ফোনটি রয়েছে জীবন নামের এক ব্যক্তির কাছে। এরপর জীবনের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় মন্ত্রীর হারিয়ে যাওয়া ফোনটি।
জীবন ও আরিফ জানতেন এটা মন্ত্রীর ফোন। এ কারণেই জীবন ফোনটি আর বিক্রি না করে নিজের কাছে রেখে দেন।
ডিসি সাজ্জাদ বলেন, মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি আইফোন। আইফোনের লক খোলা খুবই কঠিন। কিন্তু সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোনো মোবাইল আনলক করে ব্যবহার উপযোগী করতে পারার দক্ষতা থাকায় আরিফ এ ফোনটিও আনলক করেছিলেন। আনলক অবস্থাতেই আমরা মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মে রাজধানীর বিজয় সরণি মোড় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ফোনটি ছিনতাই হয়। তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রীর গানম্যানসহ ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছুটে গেলেও ছিনতাইকারীকে ধরতে পারেননি। ১ জুন কাফরুল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়।
মতামত দিন