বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা বেঁচে যায়। পরে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেন ইউএনও মেহেদী হাসান
সরকারি অর্থায়নে ভূমি ও গৃহহীন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণের পর বেঁচে গেছে ২৫ লাখ টাকা। আর বেঁচে যাওয়া সেই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন রংপুরের বদরগঞ্জের ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান।
বদরগঞ্জ ইউএনও কার্যালয় সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে জাতীয়দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, ২৯৬টি বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৫ কোটি ৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ইউএনও দপ্তর থেকে এসব বাড়ি করে দেওয়া হয়েছিল। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৩০টি পরিবারের জন্য ৩০টি বাড়ি ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারের জন্য ৮টি বাড়ি নির্মাণে আরও ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। বাড়িগুলো নির্মাণের পর বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা বেচে যায়। পরে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেন ইউএনও মেহেদী হাসান।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, “বাড়িগুলো তৈরি করতে কম দামে ভালো ইট ও বালু কিনেছি। মিস্ত্রি খরচও কম লেগেছে। এ কারণে নির্ধারিত নকশা ও প্রাক্কলিত মূল্যে বাড়িগুলো নির্মাণের পরও ২৫ লাখ টাকা অবশিষ্ট থেকে যায়। সেই টাকা গত অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়েছি। দায়িত্ববোধ ও স্বচ্ছতার জায়গা থেকে এটি করেছি।”
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, “ইউএনও সাহেব সরকারি টাকায় সঠিকভাবে বাড়িগুলো করে দিয়েছেন। আবার টাকা বেচে যাওয়ায় তা সরকারি কোষাগারে জমাও দিয়েছেন। এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’
উল্লেখ্য, ইউএনও মেহেদী হাসান বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি খুব দ্রুতই দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগ দেবেন।
মতামত দিন