‘চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করে থাকে বলে স্বীকার করেছে’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তক্ষকসহ বন্যপ্রাণী পাচারকারী দলের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (৫ জুলাই) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ বটতলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) র্যাব-১১ এর সহকারি পরিচালক মো. সম্রাট তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মতি মিয়া (৫০), মো. মাকসুদ উল্লাহ (৪০) ও মো. শাজাহান মিয়া (৩৮)।
র্যাব কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই তক্ষক বিদেশে পাচার করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা বিষয়টি স্বীকারও করেছে।
আরও পড়ুন - নওগাঁয় ভারতে পাচারকালে তক্ষক উদ্ধার
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তক্ষক সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “তক্ষক (Gecko) গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আইইউসিএন এর লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।”
আরও পড়ুন - পদ্মা সেতুর চীনা শ্রমিকদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো সজারু
তিনি আরো বলেন, “তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। তক্ষক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারীতা নিয়ে সেসব শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
আরও পড়ুন - ভাইরাল হওয়া প্রাণীটি চিতাবাঘ নয়, চিতা বিড়ালের বাচ্চা
আরও পড়ুন - নীলগাই উদ্ধার: জবাই করে মাংস খেতে চেয়েছিল স্থানীরা
মতামত দিন