গাজীপুরের টঙ্গীতে নারীদের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের কক্ষে আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্র
গাজীপুরের টঙ্গীতে অসহায় নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগে এক হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে এক যুবতীকে (২৭) উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৫ জুলাই) গাজীপুর মেট্রাপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম (৪৫) যশোরের শার্শা উপজেলার লাউতারা এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে এবং গাজীপুরের টঙ্গী ষ্টেশন রোডের নোয়াগাঁও এলাকাস্থিত হাবিব গেস্ট হাউজের ম্যানেজার।
ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, গাজীপুরের টঙ্গীতে নারীদের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের কক্ষে আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করে আসছে সংঘবদ্ধ চক্র। ওই নারীদের অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকা হতে তাদের সংগ্রহ করে ওইসব আবাসিক হোটেলে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। গোপন সংবাদ পেয়ে রবিবার রাতে পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ষ্টেশন রোডের নোয়াগাঁও এলাকাস্থিত হাবিব গেস্ট হাউজে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ হোটেলের বাহির থেকে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে এক যুবতী ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই হোটেলের মালিক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৫) এবং পার্শ্ববর্তী আজাদ রেষ্টুরেন্ট এন্ড গেষ্ট হাউজের মালিক মাসুদ (৪৫) হোটেল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে সোমবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মতামত দিন