বাগানে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করেই বিষমুক্ত উন্নত জাতের ফল চাষ করেন বলে জানান মো. মালেক মিয়া
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ধারারচর গ্রামের উদ্ভাবনী কৃষক মো. মালেক মিয়া পরম যত্নে তুলেছেন আম, লিচু, সফেদা, মাল্টা, কুল ও পেয়ারা প্রভৃতির এক নয়াভিরাম ফল বাগান।
ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার না করে সাড়ে আট একর জমিতে গড়ে তোলা এই বাগানের ফল তার ভাগ্য বদল করেছে।
বাগানে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করেই বিষমুক্ত উন্নত জাতের ফল চাষ করেন বলে জানান মো. মালেক মিয়া।
তার বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির আমের মধ্যে ব্যানানা, আম্রপালী, খিরসাপাত ও বারিথুর জাত রয়েছে। লিচুর মধ্যে রয়েছে চায়না-৩, বেদানা, দেশী মাজাদথুরী।
কৃষক মো. মালেক মিয়া জানান, বাবার মৃত্যুর কারণে নবম শ্রেণি পাশ করার পর আর লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। ১৯৮৯ সালে স্ত্রীর হাঁস বিক্রি করে তিনি একটি কুলের বাগান করেন। এরপর সেখানে আম, লিচু, সফেদা, মাল্টা, পেয়ারা ও কুলের বাগান শুরু করেন।
মালেক মিয়া জানান, তার বাগানের আম ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। চলতি বছরের ১ মে থেকেই তার বাগানের আম বিক্রি শুরু করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে আম বাগান থেকে আট, দশ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করেছেন তিনি।
বিষমুক্ত আম দিয়ে নিজের ভাগ্যবদলের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন মালেক মিয়া। তার বাগানে আম, লিচু, কুল, পেয়ারা, সফেদা ও মাল্টা সংগ্রহ ও পরিচর্যায় ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক সার্বক্ষনিক কাজ করেন।
বকশীগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর আজাদ ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সৈয়দ জামান তার বাগানের প্রতি সার্বক্ষনিক দেখাশুনা, বাগান পরিচর্যাসহ ফলন ও গাছের পরিচর্যার ব্যাপারে পরামর্শ দেন বলে জানান তিনি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা বলেন, “আমি কয়েক দিন আগে মালেক মিযার বাগান পরিদর্শন করেছি, একটু প্রচারণা ও উৎসাহ পেলে মালেক সাহেব অনেকদূর এগিয়ে যাবেন এবং বকশীগঞ্জ উপজেলার জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।”
মতামত দিন