গত ২৮ জুন, এক ফেসবুক পোস্টে বাবা হতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন এ সারেগামাপা তারকা
তর্ক-বিতর্ক-সমালোচনার যেভাবেই হোক বরাবরই যেন আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন সংগীতশিল্পী মঈনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেমসকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে তার ফেসবুক একাউন্ট “হ্যাক” হয়েছিল বলে ক্ষমাও চান। তবে এবার বাবা হতে চলেছেন দাবি করে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
ঘটনার শুরু গত ২৮ জুন, এক ফেসবুকের পোস্টের মধ্য দিয়ে। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানান—~আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।" তবে ঘটনার শুরু এখানেই। কেননা তার একদিন পর ৩০ জুন ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন নোবেলের স্ত্রী, সালসাবিল মাহমুদ।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, “আমি খুবই লজ্জিত এবং আমার জানা নেই কেন বলা হয়েছে যে হয়তো আমি প্রেগন্যান্ট। ইভেন এ ব্যাপারে আমি নোবেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে করেনি। আমি প্রেগন্যান্ট নই এবং এ ঘটনায় আমি লজ্জিত।” নোবেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমেই এ তথ্য জানতে পারেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘জানি না এতক্ষণে আমার সম্ভাব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি ‘পিলস’ খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেশতাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।’’
সন্তান নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ এর জবাবে নোবেল বলেন, “মাতৃত্ব কেবল একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে। আমার স্ত্রী, সালসাবিল তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভাব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়ার খুশি ধরে রাখতে পারিনি বলেই স্ট্যাটাস দিয়েছি।”
তবে স্টেটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার স্ত্রী, সালসাবিল ফোন করে বাচ্চা “অ্যাবর্শন” করে ফেলবে, এই হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে বলেন, “কারণ আমি নাকি তার বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না।” এমনকি তার স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে কোনভাবেই তাদের বিয়ে টিকতে দেবে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিকেল টেস্ট করবার আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্টেটাসটি দেই। মেডিকেল করলে হয়তো পজিটিভই আসতো। তবে যানিনা এতক্ষনে আমার সম্ভব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি “পিলস” খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেস্তাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।”
যদিও বর্তমানে তার স্ত্রীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই এ তথ্যও জানিয়ে নোবেল বলেন, “কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই যানিনা। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কি করে, কি পরে, কি খায়? কিছুই জানি না।” সম্প্রতি পাবনায় গিয়ে তার স্ত্রী সন্তান নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বলেও দাবি করেন সারেগামাপা খ্যাত এ তারকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন নোবেল। তবে এরপর থেকেই একের পর এক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছেন তিনি।
মতামত দিন