শিশু সন্তানকে হত্যার পর সন্তানের লাশের পাশে শুয়ে চারঘণ্টা কাটিয়ে দেন। স্ত্রীর সঙ্গেও স্বাভাবিক আচরণ করেন সোহেল রানা
রাজশাহীর বাগমারায় ঘুমন্ত ছেলে শিশু সন্তানকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে ঘাতক পিতা সোহেল রানাকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত রবিবার (২৭ জুন) এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
পরিবারেরর বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শিশু সন্তানকে হত্যার পর সন্তানের লাশের পাশে শুয়ে চারঘণ্টা কাটিয়ে দেন। স্ত্রীর সঙ্গেও স্বাভাবিক আচরণ করেন সোহেল রানা।
বিকেলের দিকে শিশু মিনহাজ ঘুম থেকে না জাগলে মা চম্পা খাতুন তার ঘুম ভাঙাতে যান। শিশুর শরীরে নাড়া দিলে কোনো সাড়াশব্দ না মেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সে। পরবর্তীতে পিতার অস্বাভাবিক আচরণে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে রবিবার (২৭ জুন) রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশু মিনহাজ হোসেনের (২) লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুর মামা আল আমিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে শিশুর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পা বাঁকানো) সোহেল রানা কয়েক বছর আগে বাকপ্রতিবন্ধী চম্পা খাতুনকে বিয়ে করেন। বাবা-মা প্রতিবন্ধী হলেও মিনহাজের কোনো সমস্যা ছিল না।
গত দুই-তিন মাস ধরে সোহেল রানার আচরণে পরিবর্তন তারা লক্ষ্য করা যায়। সে দীর্ঘ সময় ধরে মুঠোফোনে কথা বলে। কোনো নারীর সঙ্গে কথা বলেন বলে স্ত্রীসহ স্বজনেরা সন্দেহ করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
মতামত দিন