নিহত শিক্ষার্থী বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে
বান্ধবীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১) নামের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে। তার এক ছোটভাই আছে।
রুবিনার রুমমেট ও বান্ধবী মারিয়াম বলেন, “রুবিনা ও আমি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। আমরা শাহজাহানপুর মালিবাগের ৩৯১ নম্বর গুলবাগে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় সাবলেট থাকতাম। পাশাপাশি আমরা একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম।”
মারিয়াম আরও বলেন, আইন বিভাগেরই আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রুবিনার। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের দিকে বিয়েও করেন তারা। তবে বিয়ের তিন মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।
এ বিষয়ে নিহতের খালাতো বোন শরিফা সুলতানা বলেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও রুবিনার প্রাক্তন স্বামী মারিয়ামের ফোনে রুবিনার সঙ্গে তার “বিশেষ মুহূর্তের” ছবি ও ভিডিও পাঠাতো। এসব নিয়ে রুবিনা মানসিকভাবে অস্থির থাকতো।
মারিয়ম জানায়, ঘটনার দিন সকালে তিনি কাজে গেলেও রুবিনা যাননি। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাকে ফোন করে রুবিনা জানান, তার কিছুই ভালো লাগছে না। একটু পরে ভিডিও কল দেন রুবিনা। সেখানে দেখা যায় তিনি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বাঁধছেন।
মারিয়াম আরও বলেন, “আমি দ্রুত বাসায় গিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পাই। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে রুবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ বিভাগের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তী তদন্তের পর জানা যাবে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু।
মতামত দিন