“নজরুল সংগীতে রাগের ব্যবহার” নামক ২৭৭ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ১৬৯ পৃষ্ঠা লীনা তাপসী খানের রচনা নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিনা আক্তার খানমের (লীনা তাপসী খান) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আরেক নজরুল সংগীত শিল্পী ইফফাত আরা নার্গিস।
পিএইচডি-অভিসন্দর্ভের উপর ভিত্তি করে লীনা তাপসী খানের রচিত “নজরুল সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার” নামক গ্রন্থের ৩৮টি স্থানে অন্যের লেখা নকল করা হয়েছে বলে দাবি করছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি-নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক ইফফাত আরা।
রবিবার (১৩ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লীনা তাপসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন ইফফাত আরা।
“নজরুল সংগীতে রাগের ব্যবহার” নামক ২৭৭ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ১৬৯ পৃষ্ঠা লীনা তাপসী খানের রচনা নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যের গ্রন্থ থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে দাবি করে ইফফাত আরা জানান গ্রন্থটির ৮০ পৃষ্ঠা নজরুল ইনস্টিটিউট ও নজরুল একাডেমি প্রকাশিত স্বরলিপির বই থেকে স্ক্যান করে মূলপাঠ হিসেবে ঢোকানো হয়েছে। যা বইয়ের পরিশিষ্টে উল্লেখের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
বাকি সব লেখা রবীন্দ্রনাথের “গীতিবিতান” ও “নজরুল-গীতিকা”, ইদ্রিস আলীর লেখা “নজরুল সঙ্গীতের সুর”, স্বরলিপিকার জগৎ ঘটক ও কাজী অনিরুদ্ধের “নবরাগ”, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের “নজরুল সৃষ্ট রাগ ও বন্দিশ” এবং কাকলী সেনের “ফৈয়াজী আলোকে নজরুলগীতি” প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে তথ্য নির্দেশ ছাড়া হুবহু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইফফাত আরা ।
লীনা তাপসীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার পিএইচডি ডিগ্রি এবং ডিগ্রির জন্য প্রাপ্ত সব সুবিধা বাতিলের দাবি জানান তিনি।
একইসঙ্গে এই গ্রন্থের জন্য লীনা তাপসী খানকে দেওয়া “নজরুল পদক” প্রত্যাহারের দাবিও জানান ইফফাত আরা।
তবে গণমাধ্যমের কাছে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে “মিথ্যা ও বানোয়াট” দাবি করছেন লীনা তাপসী। লিখিতভাবেও অভিযোগের প্রতিবাদ করবেন বলে জানান তিনি।
মতামত দিন