মাশরাফি লেখেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে'
সংসদ সদস্য (এমপি) এবং ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা এসপিসি গ্রুপের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল।
চলতি বছরের এপ্রিলে এসপিসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মাশরাফি। মাশরাফির শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজের বিনিময়ে সংস্থাটি নড়াইলে ১০০টি উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সামাজিক বিকাশে কাজ করবে চুক্তিতে নির্ধারণ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে ফেসবুকের এক পোস্টে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
পাঠকদের সুবিধার্থে মাশরাফির পোস্টটি হুবহু দেওয়া হলো-
"গত এপ্রিলে আমি ‘SPC GROUP’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, 'শুভেচ্ছা দূত' হিসেবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারে আমার ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে।
বিনিময়ে তারা নড়াইলে ১০০টি উন্নতমানের সিসিটিভি স্থাপনসহ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারণা আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তাদের ব্যবসার ধরন তা নয়।
দুই বছরের চুক্তি থাকলেও, দুই মাসের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে জানার পরই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি শেষ করার আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি।
আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে।"
এসপিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করে আসছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল আমিন প্রধানকে ই-কমার্সের নামে ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত নভেম্বরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় সংস্থার আরও ছয় কর্মকর্তাও গ্রেফতার হন।
এর আগে গ্রেফতার আল আমিন মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডে সক্রিয় ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে।
ডেসটিনি বন্ধ হয়ে যাবার পর তিনি একই উপায়ে অনলাইন জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ শুরু করেছিলেন। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মাত্র ১০ মাসে তিনি এবং অন্যান্যরা অনলাইনে ভুয়া অফার দেখিয়ে প্রায় ২৮৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এদিকে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এসপিসির সঙ্গে মাশরাফির চুক্তির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ককে সতর্কও করেছিলেন তারা।
মতামত দিন