এ বছর বাঘা থেকে প্রায় ৩শ' টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা হয়েছে
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি শুরু করা হয়েছে। এ নিয়ে চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। শুক্রবার (২৮ মে) রপ্তানির জন্য ৩ টন ক্ষীরসাপাতি আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান।
তিনি বলেন, “এ বছর বাঘা থেকে প্রায় ৩শ টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা হয়েছে। গত বছর এখান থেকে কোনো আম রপ্তানি হয়নি। তবে, তার আগের বছর বাঘা থেকে ৩৫ টন আম রপ্তানি হয়েছিল বিদেশে। রাজশাহী জেলায় উৎপাদিত আমের অর্ধেক উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। এখানে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।”
আমচাষি সফিকুল ইসলাম জানান, “এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে। করোনার কারণে গত মৌসুমে আম পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ বছর চাষিরা বিদেশ আম পাঠাতে পারলে আরও উৎসাহিত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তাদেরকে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর থেকে আম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”
বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, আম রপ্তানির জন্য উপজেলার ২০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম ঢাকায় বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান আরও জানান, ফুড অ্যান্ড ভেজিটেব্যুল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আমের প্রথম চালান ইংল্যান্ডে পাঠানো ব্যবস্থা করেছে। আম চাষ কঠিন হলেও আমে যাতে কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ না ঘটে, এজন্য এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা “
ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষ শুরু করেছেন। এতে খরচ বাড়লেও একদিকে আমের গুণগত মান বাড়ছে অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও আম কিনছেন।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান বলেন, “রাজশাহীর আম ইউরোপসহ বাইরে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। এ অঞ্চলে কৃষিপণ্যভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে ও অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।”
রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে জেলায় এ বছর মোট দুই লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।
মতামত দিন