এ ঘটনায় স্বামী রতনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় তালাক দেওয়ায় স্ত্রী আরজিনা আক্তারকে (৩৩) ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৬ মে) কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী রতনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ওই নারী উপজেলার কলাবাধা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
আটক রতন আলীকে (৩৫) নওগাঁ সদর উপজেলার মুকরামপুর এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যামে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় ৪ মাস আগে আরজিনাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন রতন। বিয়ের কিছুদিন পর আরজিনা জানতে পারেন স্বামী রতনের সঙ্গে স্থানীয় এক পোশাক কারখানার একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো এবং ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বুধবার (২৬ মে) সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজারে কাজী অফিসে গিয়ে স্বামী রতন আলীকে তালাক দেন আরজিনা আক্তার। ওই সময় সে তালাকের বিষয়টি রতনকে মুঠোফোনে জানান। তালাক দেওয়ায় রতন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে মৌচাক বাজারে আসেন। আরজিনা কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে মৌচাক সুফিয়া হাসপাতালের সামনে আসলে তার গতিরোধ করে রতন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে আরজিনাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পেটে তিনটি আঘাত করে সে। স্থানীয়রা ও্ই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখেন। অবস্থার অবনতি হলে সেখানে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টায় ওই হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান আরজিনা। ঘটনার দিন তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রাগণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন রতনকে। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রতন আলী গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মতামত দিন