প্রায় চুরির ঘটনা ঘটছে জাবির ছাত্রী হলগুলোতে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ এই বন্ধে প্রায় চুরির ঘটনা ঘটছে জাবির ছাত্রী হলগুলোতে। বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এবার চুরির ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। অন্তত চারটি কক্ষের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র হারিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা।
বুধবার (২৬ মে) হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনের মতো হলের প্রতিটি তলা তদারকি করা হয়। এ সময় একটি রুমের তালা খোলা দেখতে পান হলের কর্মচারীরা। পরে তারা বিষয়টি হল প্রশাসনকে অবহিত করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানিয়েছেন, হলের স্টাডি রুম এবং ৫২১ ও ৫২৪ নম্বর কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি মোবাইলফোন, ফ্যান, রাউটার, শাড়ি, জুয়েলারি, জামাকাপড়, কাঁথা ও লেপ।
তারা বলেছেন, চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের পরিমাণ আরও বেশি। এ ছাড়া ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই বাড়িতে অবস্থান করছেন। ফলে আর কোন কোন রুমে চুরি হয়েছে, তা এখনই জানা যাচ্ছে না।
স্নাতক পর্বের এক শিক্ষার্থী বলেন, চুরি হলে তো তালা ভাঙা থাকবে রুমের তালা তো ঠিক আছে, শুধু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নাই। ফ্যান, রাউটার, গয়না, জামাকাপড় সব চুরি হয়ে গেছে। বাইরের কেউ না বরং হলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, না হলে এমন কাজ বাইরে থেকে অসম্ভব।
এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হলের আবাসিক শিক্ষক ও তদন্ত কমিটির প্রধান সোলনারা আকতার বলেন, শিক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা জেনেছি এবং হলে গিয়ে দেখেছি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভু্ক্তভোগী ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিলেই আমরা আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করব।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো বজ্রপাতে নষ্ট হয়েছে। এগুলোর কাজ যারা করেন, যেসব টেকনিশিয়ানও নাই। তবে চুরির ঘটনা দেখেছি এবং তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মতামত দিন