এমনকি ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে শুনে শ্রমিকনেতারা এক যাত্রীকে নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়ে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেন
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার প্রতিবাদ করায় শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের পর বাসটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির মাহিম পরিবহনের সুপারভাইজর মুন্নার নেতৃত্বে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শামীম সিকদার বলেন, “শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমার মা, ভাগ্নে-বৌ ও তাদের সাত বছরের কন্যাকে নিয়ে মঠবাড়িয়ার উদ্দেশে ৬০% বেশি ভাড়া দিয়ে টিকিট কাটি। কিন্তু বাসের প্রতি দুই আসনের একটি খালি রাখার কথা থাকলেও সুপারভাইজর কোনো সিটই খালি রাখেননি। পাশাপাশি যাত্রীদের দাঁড় করিয়েও নিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের প্রতিবাদ করলে বাসের সুপারভাইজার, হেল্পারসহ ১৫/২০ জন শ্রমিক মিলে বাসের সিটেই আমাকেসহ আমার পরিবারকে মারধর করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মা, ভাগ্নে বৌকে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করে। ভাগ্নের মেয়েকে হেলপার বাস থেকে ছুঁড়ে নিচে ফেলে দেয়।” এমনকি ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে শুনে শ্রমিকনেতারা এক যাত্রীকে নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়ে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে রুপাতলী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, “যতটুকু জেনেছি যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বাস স্ট্যান্ডের বাইরে সড়কে। বাসটি ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির হওয়ায় তাদের বিষয়টি জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা নেবেন।”
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি, বাসটিকেও পাওয়া যায়নি।”
গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের প্রথম দিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পরে প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী বহনের শর্তে গণপরিবহ চালু করেছিল সরকার। আর মালিক-শ্রমিকদের যেন লোকসান না হয়, সে জন্য ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। যদিও শুরু থেকেই অধিকাংশ গণপরিবহনকে এ নিদের্শনা মানছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মতামত দিন