পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে। লবণ নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ১০০ টন
ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমা জোয়ারের তাণ্ডবে গত দু'দিনে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকায় আড়াই হাজারেরও বেশি বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে। লবণ নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ১০০ টন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, "কক্সবাজারের উপজেলাগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির পুর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায়নি। তবে দুই দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পুর্নাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে আমরা আড়াই হাজার জেনেছি।"
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পুর্ণিমার জোয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়ন; সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর ইউনিয়ন এবং সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন জোয়ারের তাণ্ডবে দ্বীপের জেটিটি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেটির পন্টুন ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে দ্বীপের বাড়ি ঘর ও পর্যটন রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে।
ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানি সর্বোচ্চ পাঁচ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ না থাকায় উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউগাছেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। ভাঙন ধরেছে সৈকতের বালিয়াড়ি।
অন্যদিকে বিসিকের লবন শিল্প প্রকল্পের ডিজিএম মো. জাফর ইকবাল জানিয়েছেন, জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার লবন মাঠে থাকা ২ হাজার ১০০ টন লবন পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি লবন নষ্ট হয়েছে সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী গোমাতলী ও ইসলামপুর এলাকায়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, আজ এবং আগামীকালও পুর্ণিমার জোয়ারের প্রভাব থাকবে। গতকাল রাত ও আজ জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সর্বোচ্চ চার ফুট বৃদ্ধি পাবে।
মতামত দিন