ঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। জোয়ারের পানিতে ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” আরও ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে এখন সাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠেছে।
ঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। জোয়ারের পানিতে ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে উপকূলবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল (বুধবার) দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঝড়টির প্রভাবে ইতোমধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় এলাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত।
মতামত দিন