এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশীদ জানান, শহীদ মিনারের সামনে এক যুবক নিজের গলায় দা দিয়ে আঘাত করছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়
নিঁখোজের ৮ দিন পর রহস্যজনকভাবে পাওয়া গিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুরের রহমানের (২৪) লাশ।
রবিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই হাবিবুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশ শনাক্ত করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঈদুল ফিতরের পরদিন গত শনিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে অজ্ঞাতনামা এক যুবক শহীদ মিনারের সামনে এক ডাবওয়ালার থেকে দা কেড়ে নিয়ে নিজের গলা কেটে দৌড় দেন। এসময় উপস্থিত লোকজন তাকে ধরে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে চাইলে সে রিকশা থেকে লাফ দেন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সাড়ে দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশীদ জানান, শহীদ মিনারের সামনে এক যুবক নিজের গলায় দা দিয়ে আঘাত করছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ওই যুবকের পরিচয় না জানায় এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে একটি মামলা দায়ের করে, লাশ মর্গে রেখে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদি তারা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তবে তদন্ত শুরু করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাফিজ ঈদের পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছিল। ওইদিন রাত ৮টায় সে মায়ের সাথে শেষ কথা বলেছিল। পরবর্তীতে তার ফোন বন্ধ পেয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল হাফিজের বড় ভাই।
হাফিজের বন্ধুরা জানায়, ঘটনার দিন রাত ৮টা পর্যন্ত টিএসসি এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছিল হাফিজ। তখন তাকে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। এরপরেই এমন ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা আসলেই রহস্যজনক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ক্যাম্পাস জুড়ে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মতামত দিন