কুতুপালং উক্ত ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজনের দুইজন স্বামী-স্ত্রী ও অপরজন শ্যালিকা বলে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত তিন রোহিঙ্গারা হচ্ছে, কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের ২/ইস্ট ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকের আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২) তার স্ত্রী আবদুল হাইয়ের মেয়ে মরিয়ম বেগম (২৬) ও শ্যালিকা হালিমা খাতুন (২২)।
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। তাদের সংসারে ৩টি শিশুও রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে।
কুতুপালং উক্ত ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী, স্ত্রী ও শ্যালিকাসহ তিনজন খুন হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান শরনার্থী শিবিরে তিন হত্যার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেলেও বিস্তারিত তদন্তের পর নেপথ্যে কোন বিষয় থাকলে জানা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে দমদমিয়া ন্যাচার পার্ক এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি এক সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় অপর এক রোহিঙ্গা যুবক।
মতামত দিন