পরপর তিনটি সাপ পাওয়ার পর এলাকাবাসীর ধারণা, এই প্রজাতির আরও সাপ পঞ্চগড়ে রয়েছে
পঞ্চগড়ে আবারও পাওয়া গেল দুর্লভ প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ। এবার সাপটিকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে জেলার ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে আরও দুইটি সাপ উদ্ধার হলেও সেগুলোর একটি ধরার পরেই মারা যায়, আরেকটি আহত ছিল।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট প্রধানপাড়া এলাকা থেকে মো. শহিদুজ্জামান শহিদ নামে এক ব্যক্তি সাপটি উদ্ধার করেন। এরপর থেকে সাপটি তার হেফাজতে ছিল।
তিনি জানান, সাপটি তার বাড়ির পাশের বাঁশবাগান থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় আসলে তিনি সাপটিকে উদ্ধার করেন। বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ও সংরক্ষক ফিরোজ আল সাবা, প্রকৃতিপ্রেমী নাইম মাহমুদ ও সোহাগ আহম্মেদ সাপটিকে নিয়ে আসেন।
পরে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ সাদিকের পরামর্শক্রমে সাপটিকে বুধবার রাতে জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
সাপ উদ্ধারকারী শাহিদুজ্জামান শাহিদ জানান, আমার বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে সাপটি বাদাম ক্ষেত থেকে প্রবেশ করে। এ সময় তার চিৎকারে আমিসহ অনেকে ছুটে যাই তাদের বাড়িতে। পরে আমি সাপটি উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রাতেই স্থানীয় বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ও সংরক্ষক ফিরোজ আল সাবাহকে অবহিত করি। বুধবার বিকেলে তিনি সাপটি নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, এমন সাপ আগেও দেখেছেন তারা এই এলাকায়; এই ধরনের সাপ তাদের কাছে “সিন্দুরী” সাপ নামে পরিচিত।
ফিরোজ আল সাবাহ জানান, রেড কুরাল কুকরি নামে এই প্রজাতির সাপটি বাংলাদেশের পঞ্চগড়েই প্রথম ও পর পর তিন বার দেখা গেল। সাপটি দিনের বেলা সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না। এ কারণে রাতের আঁধারে সাপটি অবমুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, জেলার বোদা উপজেলার ঝলুইশালসিরি ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজার এলাকায় মাটি খুঁড়তে আগে প্রথম এ সাপটি পাওয়া যায়। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের আবু তাহের নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে এই সাপ মিলেছিল। পরপর তিনটি সাপ পাওয়ার পর এলাকাবাসীর ধারণা, এই প্রজাতির আরও সাপ পঞ্চগড়ে রয়েছে।
মতামত দিন