রাতে প্রেমিক রাসেদ প্রেমিকা আরমিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়। কিন্তু মেয়েটির বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রাসেদকে আটক করে
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় লুকিয়ে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে রাসেদ ইসলাম (১৬) নামে এক প্রেমিক আটক হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মসম্মান ও ভয়ে প্রেমিকা আরমিন আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে “আত্মহত্যা” করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরমিন উপজেলার সাকোয়া মিয়াজীপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে। সে সাকোয়া জমিলাতুন নেছা ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে, রাসেদ ইসলাম সাকোয়া শিংপাড়া এলাকার সফিকুলের ছেলে এবং সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের মিয়াজীপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাসেদ ও আরমিনের প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিল। একসময় সর্ম্পকের বিষয়টি উভয় পরিবার জানতে পারে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি দুই পরিবারের কেউ। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার আপোষ-মীমাংসাও হয়।
এরইমধ্যে গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে প্রেমিক রাসেদ আরমিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়। কিন্তু মেয়েটির বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রাসেদকে আটক করে।
এদিকে, রাসেদকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আত্মসম্মান ও ভয়ে ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আরমিন। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, “এ ঘটনায় আটক রাসেদ ইসলামের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে। রাসেদকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”
মতামত দিন