পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র সংঘর্ষ

নরসিংদীতে পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ৪ জন ।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। 

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার নেহাব গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচদোনা বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালাম (৬০), মেহেরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মনির হোসেন (৪৮), একই গ্রামের মৃত হামিদের ছেলে  মো. মিনহাজ (৪৫) ও পাঁচদোনা গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে স্থানীয় সোহাগ টেইলার্সের মালিক মো. সিরাজ মিয়া (৪০)।

পুলিশ, আহত ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় সোহাগ টেইলার্সের মালিক সিরাজ মিয়ার সাথে পাঁচদোনা গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা সিরাজকে মারধর করে।

এ ঘটনার পর সিরাজ টেইলার্স বন্ধ করে বাড়ি চলে গেলে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং বিচারের আশ্বাস দেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য টেইলার্স মালিক সিরাজকে নিয়ে বাজারে আসেন ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা।

এ সময় জাহাঙ্গীর ও সাইদুর রহমানের ছেলে নূর আলম (২১) এর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আবার কেন দোকান খোলা হল, এমন অভিযোগে হামলা চালায়। এ সময় গুলিতে বাজারের মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধসহ চাপাতির কোপে আহত হয় ৪ জন। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা গুলিবিদ্ধ আব্দুস সালামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বাকিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত মনির হোসেন হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় বাকতিণ্ডার পর টেইলার্স মালিক সিরাজকে মারধর করা হয়। পরে ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে আবারও হামলা করে। এতে আমিসহ ৪ জন আহত হই।

পাঁচদোনা পুলিশ ফাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “রাতের বেলার ঘটনাতো, কী কারণে এ ঘটনা এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি তদন্তনাধীন।”