বোমার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবলীগ নেতা আটক করেছে পুলিশ
যশোরের কেশবপুরে টং ঘরে রেখে যাওয়া ‘কৌটা’ খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুর রহমান (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছ। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে নিহত আব্দুর রহমানের মা মারুফা (২৭) ও বোন নিলুফা (৪)।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কেশবপুরের বাউশলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলাচলে অক্ষম স্বামীর অবর্তমানে কেশবপুর উপজেলার বাউশলা গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী নিলুফা বেগম প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও বাড়ির পাশ্ববর্তী মাঠে তাদের স্যালো মেশিন পানি উঠছে কিনা তা দেখতে যান। এ সময় স্যালো মেশিনের টং ঘরে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কৌটা পড়ে থাকতে দেখে সেটি বাড়িতে নিয়ে যান।
দুপুরের দিকে নিলুফা, তার ছেলে আব্দুর রহমান ও মেয়ে মারুফা মিলে কৌটাটি খোলার চেষ্টা করলে সিট বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলে ছেলে আব্দুর রহমান (১০) নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় নিলুফা (২৭) ও শিশু কন্যা মারুফা (৪)। পরে প্রতিবেশীরা আহত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী এক যুবলীগ নেতার ঘেরের টংঘরে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এছাড়া বোমার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হোসেনকে আটক করে পুলিশ। আটক ফারুক ৪নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ভাই।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, “আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বোমার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।”
মতামত দিন