দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে খাবার ডেলিভারি দিবে এমন রেস্টুরেন্টগুলো
দেশব্যাপী শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। তবে এসময় চালু থাকছে খাদ্য, অনলাইন কেনাকাটা এবং পণ্য সরবরাহের সুবিধা।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দেয়। মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল, ১৪ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত আরোপিত এই লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগের শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। দেশের সমস্ত বিভাগীয় কমিশনার, সমস্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের কাছে সেই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, খাদ্য, কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক ও যানবাহন দিনে-রাতে যে কোনও সময় চলাফেরা করতে সক্ষম হবে। অনলাইনে কেনাকাটাকে উৎসাহিত করা হবে। ডেলিভারিম্যান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দুপুর ১২ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে সক্ষম হবেন। পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে গুদামসমূহ খোলা রাখা যেতে পারে।
উপরন্তু, যেসব রেস্টুরেন্ট কিচেন খাবার ডেলিভারি দিবে তারা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারবে। তবে ডেলিভারিম্যানদের রান্নাঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি পণ্য পরিবহনে নিযুক্ত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করবে। এক্ষেত্রে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইসিএবি) লোগো এবং সিরিয়াল নম্বর শনাক্তকরণ কার্ড পণ্য সরবরাহকারী এবং যানবাহনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, দৈনিক পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতা করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করা হয়েছে।
মতামত দিন