ভারতীয় কিশোরটি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কুড়িগ্রামের দোয়ালিপাড়া গ্রামে তার নানা মকবুল হোসেনের বাড়িতে আসছিল
বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গুরুতর আহত দেশটির নাগরিক মিলন মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে বিএসএফ ১৯২ ব্যাটালিয়নের ঝিকরী ক্যাম্পের সদস্যদের কাছে তাকে হস্তান্তর করে বিজিবি।
লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেন এবং ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত পথে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করার প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৯৪৬/৪—এস হতে ৭০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয় ভারতীয় নাগরিক মিলন মিয়া। সে ভারতের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার শাহিদালের কুঠি গ্রামের জগু আলমের ছেলে।
সে অবৈধভাবে সীমান্ত পারি দিয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দোয়ালিপাড়া গ্রামে তার নানা মকবুল হোসেনের বাড়িতে আসছিল বলে আহত কিশোরের বরাত দিয়ে জানায় বিজিবি।
বিজিবি আরও জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার কাছে ভারতের অভ্যন্তরে গুলির শব্দ শোনা গেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অনন্তপুর বিওপি কমান্ডার সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে স্থাানীয় জনসাধারণকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে, ১৯২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের ঝিকরী ক্যাম্পর টহল দল মাদক চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ভারতীয় নাগরিক মিলন মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হয়।
পরে ব্যাটালিয়েনের নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে ওই কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দোয়ালিপাড়া গ্রামে তার নানা মকবুল হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছে।
ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, পরবর্তীতে বিজিবি স্থানীয় পুলিশের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে রবিবার ভোর চারটার দিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাকে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মতামত দিন