পর্নসাইটে আপলোডের হুমকি দিয়ে ৯ হাজার টাকা দাবি করা হয়
চট্টগ্রামে এক কলেজছাত্রী ও তার মায়ের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে পর্নোসাইটে প্রকাশের হুমকি দেওয়ায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বুধবার (৭ এপ্রিল) নগরীর পাঁচলাইশ থানার প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ে ও নন্দনকানন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন গণমাধ্যমকে এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার হওয়া দু’জন হলেন-অভিষেক সেন শর্মা (১৯) ও আদিত্য বড়ুয়া (১৮)। দু’জন আপন খালাতো ভাই। এদের মধ্যে অভিষেক চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএতে পড়ালেখা করছেন। আদিত্য সেন্টপ্লাসিড স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি’র ছাত্র।
পুলিশ জানায়, বুধবার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় ওই কলেজছাত্রী অভিযোগ করেন, গত ২৯ মার্চ রাতে তাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এবং হোয়াটসঅ্যাপে তার বাসায় পোশাক পাল্টানোর ভিডিও পাঠায় অভিষেক। তারা অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায়, এ ধরনের আরও ভিডিও সে বিভিন্নজনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়েছে। সেগুলো পর্নসাইটে আপলোডের হুমকি দিয়ে সে ৯ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ওই ছাত্রীকে তার মায়েরও একই ধরনের কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে এবং হোয়াটস অ্যাপে পাঠায়। এরপর তারা বিষয়টি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং পাঁচলাইশ থানাকে অবহিত করেন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন জানান, প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ে অভিষেকের নানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ের প্রহরীর ছেলে এই ভিডিও করে অভিষেককে দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই ভিডিও অভিষেক তার খালাতো ভাই আদিত্যকে দেয়। আদিত্য ভিন্ন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো কয়েকজন বন্ধুর ম্যাসেঞ্জারে দেয় এবং পর্নসাইটে দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এরপর নন্দনকানন এক নম্বর গলি থেকে আদিত্যকে গ্রেফতার করা হয়। আর প্রহরীর ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার দু’জনের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা।
মতামত দিন