এ সময় তারা লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি বজায় রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাবার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে মিছিল বের করে
সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে সমস্ত শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান নিয়েছে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
কোভিড-১৯’এর বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিরোধিতা করে রাজধানীর নিউ মার্কেট এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী সোমবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এ সময় তারা লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি বজায় রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাবার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে মিছিল বের করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মহামারি ছড়িয়ে পড়লে গত বছর তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এ বছর ঈদ মৌসুম শুরু হওয়ার আগ দিয়েই চলমান লকডাউনে পুনরায় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালীন ব্যবসায়ীরা ট্রাফিক চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কাইয়ুম একটি ইংরেজি দৈনিককে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
লকডাউনেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী শহরে দোকান মালিক ও কর্মচারীরাও।
এ সময় তারা রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের সামনে সাহেব বাজারের রাস্তা অবরোধ করে এবং তাদের দাবি মেনে নেবার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
তারা সরকারের কাছে সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হওয়া লকডাউনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে লকডাউনের সময় প্রতিদিন চার ঘণ্টা মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি চান।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে অনেক অফিস-যাত্রী কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য কোনো গণপরিবহন না পেয়ে রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে সোমবার থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সকল ধরনের গণপরিবহণের (সড়ক, নদী, রেল ও অভ্যন্তরীণ বিমান) বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউনেট রাজশাহী সংবাদদাতা দুলাল আবদুল্লাহ এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।
মতামত দিন