আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান
আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে একসপ্তাহ লকডাউন দিয়েছে সরকার।
শনিবার (৩ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বরাত এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করা উচিত।”
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে।”
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৬,৮৩০ জনের শরীরে। এটিই একদিনে সর্বাধিক শনাক্তের ঘটনা। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,২৪,৫৯৪ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ১৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন - লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬টি পরীক্ষাগারে ৩০ হাজার ২৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ৩৩৯টি নমুনা।২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.২৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২২.৯৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ৬৪ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মতামত দিন