১৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করতো খুলনার গোয়েন্দা শাখার ওই পুলিশ কর্মকর্তা
যৌতুকের দাবিতে খুলনায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে স্ত্রী মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে খালিশপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযোগটিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় নথিভুক্ত করেছে।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ৯ মার্চ রাতে তার স্ত্রী আঁখিমুনা মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলা বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান পাইকের মেয়ে আঁখিমুনার সঙ্গে মোরলগঞ্জ উপজেলার শ্রেণিখালি গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে নাহিদ হাসান মৃধার বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময় পিতৃলয় থেকে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয় নাহিদ হাসানকে। তারপরও যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। যৌতুকের দাবি পুরণ করতে গিয়ে ওই গৃহবধূর বাবা তার সংসারের সবকিছুই দিয়েছেন। সম্প্রতি জমি ক্রয়ের জন্য ১৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত মারপিট করে। গত ১ মার্চ রাতে যৌতুকের জন্য মারপিট করার এক পর্যায়ে চাকু নিয়ে তাকে খুন করতে যায়। এ সময় গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার মা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় স্বামীর অত্যাচার থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
তাদের ঘরে নিহাদ নামের ৫ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
এর আগে ৭ মার্চ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এর এসআই সফুরা খাতুন খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে পত্র প্রেরণ করে এ ঘটনা জানান।
মতামত দিন