২২ ক্যারেট সোনার নতুন দাম ১৫১৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১,১৫০ টাকা
বিশ্ববাজারে দরপতনের মধ্যেই আবারও কমলো সোনার দাম। ফেব্রুয়ারিতে ৫.৯৪% কমেছে বিশ্বের অন্যতম দামি এ ধাতুটির দাম। গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমেছে ১.৮৮%। গত ৯ মাসের ভেতর দেশের বাজারেও কমেছে এর দাম।
৩ মার্চ বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট সোনার নতুন দাম ১৫১৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১,১৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম পড়বে ৬৯,৫০০ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির নতুন দাম ধরা হয়েছে ৬০,৭৫০ টাকা। সনাতনী সোনার ভরি ৫০,৪০০ টাকা। প্রতি ভরি সোনার মজুরি হিসেবে ক্রেতাকে দিতে হবে আরও ২,৯০০ টাকা। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা। এক্ষেত্রে এর মজুরি যোগ হবে ৩০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২ মার্চের আগে গত ১২ জানুয়ারিও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৭২,৬৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয় ৬৯,৫১৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয় ৬০,৭৬৯ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে সোনার প্রতি ভরির দাম ধরা হয় ৫০,৪৪৭ টাকা।
বিশ্ববাজারে সোনার দামের পতন অব্যাহত থাকায় শিগগিরই দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমানো হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেশে সোনার দাম কমানো হয়েছে। তবে গত কিছুদিন বিশ্ববাজারে সোনার দাম নিম্নমুখী। তাই সোনার দাম আরও কমানো হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে বিনিয়োগ অনেকটা একমুখী হয়ে পড়েছিল। বিনিয়োগকারীরা সোনা কিনে মজুদ করে। এখন ধীরে ধীরে অর্থনীতি সচল হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগকারীরাও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। সোনার দাম কমার এটি একটি কারণ হতে পারে বলে আমার ধারণা।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে বড় দরপতন হয়েছে রুপা ও প্লাটিনামের। রুপার দাম কমেছে ৫.১৭%। প্লাটিনামের দাম কমেছে ৪.৯৬%।
মতামত দিন