সন্ধ্যা ৬টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে (হোসেন তৌফিক ইমাম) বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮২ বছর বয়সী এইচ টি ইমাম।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ইমাম কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এবং দু'সপ্তাহ আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
রাত সোয়া ১টার দিকে চিকিৎসকরা এইচ টি ইমামকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া জানান, তার মরদেহ সকাল সাড়ে ৯টায় হেলিকপ্টারযোগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নেয়া হয়। বেলা ১১টায় উল্লাপাড়া আকবর আলী সরকারি কলেজ মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার দ্বিতীয় জানাজা আসর নামাজের পর ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২ ঘণ্টার জন্য রাখা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এইচ টি ইমাম স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হন।
১৯৭৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন। প্রথমে তিনি জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ইমাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
এইচ টি ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে ডিগ্রি লাভ করেন।
মতামত দিন