মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় শিশুটি বিক্রি হওয়ার পর সেই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছিল সুদের ব্যবসায়ীরা
নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদের কারবারিদের চাপে বিক্রির ২ দিন পর বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (০৩ মার্চ) দুপুরে বড়াইগ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলেদেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। এ সময় বড়াইগ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু উপস্থিত ছিলেন।
শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপশি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক তাকে নগদ অর্থ, ফলমুল ও খাবার দেওয়া হয় এবং স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য একটি ভ্যানগাড়ি, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জমিসহ একটি ঘর এবং চলমান ঋণ পরিশোধের ও নগর ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। একই সাথে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইউএনও।
আরও পড়ুন - সুদের টাকা পরিশোধে ২২ দিনের কন্যা শিশুকে বিক্রি!
এর আগে গত সোমবার সুদের কারবারিদের চাপে বাধ্য হয়ে উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে ভ্যানচালক রেজাউল করিম চাঁদনী আক্তার লিজা নামে তার ২২ দিন বয়সী কন্যা শিশুকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এতে করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করেন ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিক্রিত শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হল।
শিশুকে ফিরে পেয়ে মা ফুলজান বেগম অশ্রু সজল কণ্ঠে বলেন, একমাত্র কন্যা শিশুকে ফিরে পেয়ে যে খুশি লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এ জন্য ডিসি, ইউএনও স্যার এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ ও ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি দুঃখজনক তাই সাধ্যের সবটুকু সহয়তা করা হয়েছে।
মতামত দিন