'নির্বাচেনর সময় নেতারা অনেক কিছুই প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বংশাই নদীর ওপর চাকদহ সেতুটি কেউ নির্মাণ করেন না'
টাঙ্গাইলের সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী নদীর নাম বংশাই। নদীটি দুই উপজেলাকে বিভক্ত করেছে। নদীর পাড় ঘেঁষে সখীপুরের সীমানায় গড়ে উঠেছে চাকদহ বাজার। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। যুগ যুগ ধরে এসব মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। মাত্র ১০০ ফুট বাঁশের সাঁকো ধরে রেখেছে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী মানুষের বন্ধন।
জানা যায়, বংশাই নদীর পাড়ঘেঁষা সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার চাকদহ, রাসরা, মিরিকপুর, ছৈদামপুর, হাতীবান্ধা, বেড়বাড়ী, নাইকানবাড়ি, রতনপুর, কাঞ্চনপুরসহ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকো। এসব গ্রামের নিকটবর্তী একমাত্র বাজার চাকদহ। বাজার থেকে বাসাইল পৌর শহরের দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। সেতু না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে ওই শহরে যেতে হয়। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতাল ও জেলা শহরে যাওয়ার যাত্রীরা।
এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী বলেন, "নির্বাচেনর সময় নেতারা অনেক কিছুই প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বংশাই নদীর ওপর চাকদহ সেতুটি কেউ নির্মাণ করেন না।"
সখীপুর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ বলেন, "টাঙ্গাইল প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্পে সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে।"
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, "ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বংশাই নদীর ওপর প্রায় দেড়'শ ফুটের একটি সেতু। এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে করে দেব। সেই সঙ্গে ওই এলাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত ও পাকা করতে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।"
চাকদহ বাজার কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, "উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্রে চাকদহ গ্রামটি অনেক অনুন্নত ও অবহেলিত। শুধু অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণেই আমাদের এ রকম বেহাল অবস্থা।"
মতামত দিন