প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে ঢাকায় আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মঙ্গল ও শুক্রবার জলপাইগুড়ি যাবে
আগামী ২৬ মার্চ থেকে ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দু’দিন এই রুটে ট্রেন চলাচল করবে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ভারতের রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রেলপথ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রবীন্দ্র কুমার ভার্মা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত এই রেল পরিষেবা শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে ঢাকায় আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার এনজেপি যাবে। এই রুটে রেলপথের দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। যারমধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে ট্রেনটি ৯ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছবে।
ট্রেনটিতে ভ্রমণের জন্য ভাড়া এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। তবে এসি ২ হাজার, চেয়ার ১ হাজার ৫০০ এবং স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০ এর মতো হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। এটি হবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় রেল পরিষেবা।
এছাড়া বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
মতামত দিন