পাহাড়ে বন উজাড় হওয়ায় খাদ্য ও আবাস সংকটের কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমণে নিহত ও আহত হবার ঘটনা ঘটে
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানে লামা উপজেলায় একদল বন্যহাতির তাণ্ডবে সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পুইট্টারঝিরি ও আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বাচাম্বী আমতলী পাড়ার ৫টি বসতঘর তছনছ হয়েছে। এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত হন রহিমা বেগম (২০) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বন্যহাতি দ্বারা আক্রমণের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পাহাড়ে বন উজাড় হওয়ায় খাদ্য ও আবাস সংকটের কারণে জেলার লামা, আলিকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও সদর উপজেলায় প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমণে নিহত ও আহত হবার ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, একদল বন্যহাতি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সরই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নেমে পড়ে। হাতিগুলো প্রথমে পাড়ার বাসিন্দা আবুল মিয়ার বসতঘরে ভাংচুর শুরু করে। পরে একে একে বিভিন্ন ঘরের বসতঘর ভাংচুর করে।
এ সময় হাতির আক্রমণ টের পেয়ে বাক প্রতিবন্ধী রহিমা বেগম আত্মরক্ষার জন্য ঘর থেকে বের হলে হাতির কবলে পড়েন। এতে হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো জসীম উদ্দিন বলেন, "এখনো হাতিগুলো এলাকায় অবস্থান করায় লোকজন চরম আতংকে রয়েছেন। আবার ও যে কোনও মুহূর্তে তাণ্ডব চালিয়ে জান ও মালের ক্ষতিসাধন করতে পারে।"
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার জানান, "উপজেলার সরই ও আজিজনগর ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় হাতিরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। হাতি দ্বারা নিহত প্রতিবন্ধী যুবতির পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।"
এদিকে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আলমগীর জানান, "হাতির আক্রমণে নিহত প্রতিবন্ধী যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।"
মতামত দিন