জাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিখা পিরেগুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ  এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। 

অফিস আদেশটিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৮ নভেম্বর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী তারিখ থেকে মিখা পিরেগুকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল। বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে মিখা বলেন, “২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সিল ও স্বাক্ষরসহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনোও কারণ ছাড়াই এটি পারমিট না করায় আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল বলে আমি প্রথমবার জমা দেওয়া মূল কপির ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আমি রিভিউ আবেদন করেছি। প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে।”

 ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এ প্রসঙ্গে  জানান, ছাত্র ইউনিয়ন কখনই কোনো অনৈতিকতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না।এমন অভিযোগ লজ্জার। তার বিরুদ্ধে  অভিযোগটি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন জানান, ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদনপত্রটি স্থানান্তর করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অনুমোদনের সময় বাতিল হয়ে যায়। তাকে আবার আবেদন করতে বলা হলে বিভাগের সুপারিশ ছাড়াই আবেদনটি করেন। 

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ওই আবেদনপত্রে উনি যে তারিখ দেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি নাঈমা আহমেদ ছুটিতে ছিলেন।