ট্রাকচাপার ঘটনাটি দুই শিশু দেখতে পেয়ে দৌড়ে পুলিশ লাইন্সের গেটে অন্য পুলিশ সদস্যদের জানায়
রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ও সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পৃথক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাটোর শহরের বড়হরিশপুরে ট্রাকের ধাক্কায় বিষ্ণুপদ পাল নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।
নিহত বিষ্ণুপদ পাল বগুড়া সদর থানার সেকেরকোল গ্রামের অমুল্য পালের ছেলে। তিনি নাটোর কোর্টের এপিএসআই পদে কর্মরত পুলিশ সদস্য ছিলেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, বিষ্ণুপদ পাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইনস থেকে বের হয়ে পায়ে হেঁটে শহরের দিকে আসছিলেন। পথে বড়হরিশপুর শ্মশান গেটের সামনে দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় বিষ্ণুপদ সড়কের পাশে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে যায়। ঘটনাটি দুই শিশু দেখতে পেয়ে দৌড়ে পুলিশ লাইনসের গেটে অন্য পুলিশ সদস্যদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, নওগাঁর মান্দায় বালু বোঝাই একটি ট্রাক্টরের চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। নিহতরা- হলেন শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও তার রেহেনা বিবি (৩২)। দুর্ঘটনায় তাদের মেয়ে শাকিলা (১১) ও ছেলে রাফি (৩) আহত হন। রবিার বেলা ১১টার দিকে মান্দা-নিয়ামতপুর সড়কের গোয়ালপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার দারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, দারাজপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম সপরিবারে মান্দা উপজেলার গোপালপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আত্মীয়ের বাসা থেকে একটি মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি দারাজপুর গ্রামে ফিরছিলেন তারা। পথে গোয়ালপাড়া মোড়ে পৌঁছলে বালু বোঝাই একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রেহেনা বিবির মৃত্যু ঘটে।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, “রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় মারা যান শহিদুল ইসলাম।”
মতামত দিন