মোমেন বলেন, ‘আবেদন না করায় সরকার দণ্ডপ্রাপ্ত সাংসদকে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে না’
অর্থ ও মানবপাচার সংশ্লিষ্ট মামলায় সম্প্রতি কুয়েতের আদালতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজার রায়ের কপি হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম আয়োজিত “উই কালারফুল ফেস্ট ২০২১” অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রায়ের কপি অনুযায়ী পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ৬১ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পেয়েছি এবং এটি সঠিক জায়গায় প্রেরণ করা হয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম যেহেতু বাংলাদেশের মতো যে কোনো রায় দিতে কুয়েতেও সময় লাগে এবং সেখানে রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।”
পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সংসদের বিধি মোতাবেক এটি সমাধান করা হবে।”
মোমেন বলেন, আবেদন না করায় সরকার দণ্ডপ্রাপ্ত সাংসদকে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাপুল কূটনীতিক পাসপোর্ট বা সংসদ সদস্য হিসেবে কুয়েতে যাননি, তিনি সেখানে ব্যবসায়ী হিসেবে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - মানবপাচার: কুয়েতে এমপি পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড
“কুয়েতে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং তিনি সেখানে আবাসিক ব্যবসায়ী হিসেবে অবস্থান করছিলেন,” বলেন তিনি।
ইতোমধ্যে মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট।
এর আগে, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
গত বছরের ৬ জুন পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগের সাথে জড়িত থাকায় ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত।
গত বছরের ৯ জুন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমপি পাপুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ দেয়। তাদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং আয়কর রিটার্নের কপি ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল।
মতামত দিন