রাতে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে রিমাকে হত্যা করা এবং পরদিন সকালে দরজার সামনে শিশু সন্তানদের রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী বাবুল মীর
নরসিংদীর শিবপুরে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে পরকীয়া সন্দেহের জেরে রিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে স্বামী বাবুল মীর (৩৮)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহতের বাবা কালিম উদ্দীন গাজী বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার যোশর ইউনিয়নের হাজীবাগান এলাকার নিজ ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, পরকীয়া সন্দেহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
নিহত রীমা বেগম উপজেলার যোশর ইউনিয়নের হাজীবাগান এলাকার বাসিন্দা ও পোলট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী বাবুল মীরের স্ত্রী। অভিযুক্ত বাবুল মীর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের হাজীবাগান এলাকার হজরত আলী মীরের ছেলে।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর আগে বাবুল মীর ও রিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ রিমা বেগমের মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে প্রায় সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।
এরই জেরে মঙ্গলবার রাতে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় রিমাকে। পরদিন সকালে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দরজার সামনে সন্তানদের রেখে পালিয়ে যায় বাবুল মীর। এদিকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও শিশু সন্তানরা ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে ঘরে তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দেয়।
পরে রাতে ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী তালা ভেঙে ঘরে গিয়ে রিমার রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, "নিহতের মাথায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত বাবুল মীরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।"
মতামত দিন